হারাম উপার্জনের স্বরূপ-"" সুদ""
الربي في اللغة الزيادة والمراد في الآية كل زيادة لا يُقابلها عوض
বাড়তি জিনিস, আয়াতে উদ্দেশ্য হলোঃ প্রত্যেক ঐ বাড়তি অংশ যা আর্থিক বিনিময় ছাড়া অর্জন করা হয়। আহকামুল কুরআন লি ইবনিল আরবি।
এক,
হাদিসে রিবার(সুদ) সংজ্ঞাঃ
عن علي بن أبي طالب
كلُّ قرضٍ جَرَّ مَنفعةً فَهوَ ربًا
الجامع الصغير ٦٣١٨
যে রিন লাভ কামাই করে তাই রিবা।
আল জামিউস সগীর- ৬৩১৮
জামে সগীর এর ব্যখ্যা গ্রন্থ সিরাজুল মুনীরে
আল্লামা আজিজি রহঃ লিখেছেন,,,
হাদিস টি হাসান লিগাইরিহি।
দুই,
রিনের ক্ষেত্রে রিবা(সুদ)
ইবনে আব্বাস বলেন,
إنما الربا أخرلي وازيدك
রিনগ্ৰহিতা রিনদাতাকে বলল, তুমি পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দাও, তাহলে এত টাকা বাড়িয়ে দিব।
مصنف عبد الرزاق١٤٣٦٢
মুসান্নাফু আব্দির রাজ্জাক-১৪৩৬২
তিন,
এক হাদিসে রিবার বর্ননা এভাবে এসেছে,
فَبَلَغَ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ فَقَامَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ بَيْعِ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرِّ بِالْبُرِّ وَالشَّعِيرِ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرِ بِالتَّمْرِ وَالْمِلْحِ بِالْمِلْحِ إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ عَيْنًا بِعَيْنٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى
আবু কিলাবাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাঃ)-এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি দণ্ডায়মান হন এবং বলেন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিষেধ করতে শুনেছি- স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ, রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিমিয়ে খেজুর ও লবণের বিনিময়ে লবণ বিক্রি করতে, পরিমাণে সমান সমান ও নগদ নগদ ছাড়া। যে অতিরিক্ত দিবে বা অতিরিক্ত গ্রহণ করবে সে সুদের কাজ-কারবার করল।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৯৫৩
(১৫৮৭ মাদ্রাসা সিলেবাস অনুযায়ী/আন্তর্জাতিক নাম্বার)
كِتَابٌ : الْمُسَاقَاةُ | بَابٌ : الصَّرْفُ، وَبَيْعُ الذَّهَبِ بِالْوَرِقِ نَقْدًا
কিতাবঃ পানি সেচের বিনিময়ে ফসলের একটি অংশ প্রদান।
অধ্যায়ঃ স্বর্ণের বদলে রৌপ্য, রৌপ্যের বদলে স্বর্ণ নগদ বেচাকেনা।
আরেকটি হাদীস
*ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَالْفِضَّةَ بِالْفِضَّةِ إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ وَالْفِضَّةَ بِالذَّهَبِ كَيْفَ شِئْتُمْ
আবূ বাক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সমান সমান ছাড়া তোমরা সোনার বদলে সোনা বিক্রয় করবে না। অনুরূপ রূপার বদলে রূপা সমান সমান ছাড়া (বিক্রি করবে না)। রূপার বদলে সোনা এবং সোনার বদলে রূপা যেভাবে ইচ্ছে, কেনা বেচা করতে পার।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২১৭৫
كتاب: البيوع- باب بيع الذهب بالذهب
কিতাবঃ ক্রয় বিক্রয়
অধ্যায়ঃ সোনার পরিবর্তে সোনা বিক্রি করা।
চার,
বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে রিবার(সুদ) আলোচনা।
লম্বা হাদীসের অংশ বিশেষ।
أَلاَ كُلُّ شَىْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَىَّ مَوْضُوعٌ وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ وَإِنَّ أَوَّلَ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَائِنَا دَمُ ابْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي سَعْدٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ وَرِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ
সাবধান! জাহিলী যুগের সকল ব্যাপার (অপসংস্কৃতি) আমার উভয় পায়ের নীচে। জাহিলী যুগের রক্তের দাবিও বাতিল হ’ল। আমি সর্বপ্রথম যে রক্তপণ বাতিল করছি, তা হল আমাদের বংশের রবী’আহ্ ইবনু হারিসের পুত্রের রক্তপণ। সে শিশু অবস্থায় বানূ সা’দ এ দুগ্ধপোষ্য ছিল, তখন হুযায়ল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করে।
“জাহিলী যুগের সুদও বাতিল হল।
মুসলিম হাদীস:২৮৪০
মুসলিম হাদীস:১২১৮(মাদ্রাসা সিলেবাস অনুযায়ী/আন্তর্জাতিক নাম্বার)
كِتَابٌ : الْحَجُّ. | بَابٌ : حَجَّةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
কিতাবঃ হজ্জ
অধ্যায়ঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হজ্জের বিবরণ।
পাচ,
কম বেশি সুদ সবই নিষিদ্ধ,
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَ ذَرُوۡا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও। বাকারা ২৭৮
نَزَلَ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عُمَيْرٍ مِنْ ثَقِيفٍ، وَبَنِي الْمُغِيرَةِ مَنْ بَنِي مَخْزُومٍ، كَانَ بَيْنَهُمْ رِبًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَلَمَّا جَاءَ الْإِسْلَامُ وَدَخَلُوا فِيهِ
উপরোক্ত আয়াত সাকিফ গোত্রের বনু আমরুবনু উমাইর এবং মাখযুমী গোত্রের বনুল মুগীরার ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে, জাহেলী যুগে তাদের মাঝে সুদি কারবার হয়েছিল (লেনদেন হয়েছে) ইসলাম আগমনের পর(ইসলামের দাওয়াত পাওয়ার পর)উভয় গোত্র মুসলমান হয়ে যায়।
طَلَبَتْ ثَقِيفٌ أَنْ تَأْخُذَهُ مِنْهُمْ، فَتَشَاوَرُوا وَقَالَتْ بَنُو الْمُغِيرَةِ: لَا نُؤَدِّي الرِّبَا فِي الْإِسْلَامِ
এখন উভয় গোত্র মুসলমান) সাকিফ গোত্র মাখযুমী গোত্রের নিকট তাদের বকেয়া সুদ দাবি করলে মাখযুমী গোত্রের বনুল মুগীরা সম্প্রদায় আপোষের মধ্যে পরামর্শ করে সাকিফ গোত্রকে জানিয়ে দিলেন যে আমরা ইসলামের মধ্যে (যেহেতু আমরা মুসলমান) সুদ দিব না।
فَكَتَبَ فِي ذَلِكَ عَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ نَائِبُ مَكَّةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ﷺ، فَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فَكَتَبَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِلَيْهِ
মক্কার নায়িব আত্তাব ইবনে আসিদ এই ব্যাপারে মিমাংসার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট চিঠি পাঠালেন, তখন এই আয়াত নাযিল হয়,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ * فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ﴾ فَقَالُوا: نَتُوبُ إِلَى اللَّهِ، وَنَذَرُ مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا، فَتَرَكُوهُ كُلُّهُمْفَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا فَاۡذَنُوۡا بِحَرۡبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ۚ وَ اِنۡ تُبۡتُمۡ فَلَکُمۡ رُءُوۡسُ اَمۡوَالِکُمۡ ۚ لَا تَظۡلِمُوۡنَ وَ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও। বাকারা ২৭৮
কিন্তু যদি তোমরা তা না কর তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও, আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা যুলম করবে না এবং তোমাদের যুলম করা হবে না। বাকারা ২৭৯
ছয়,
চক্রাকারে বৃদ্ধি/বহুগুণে বৃদ্ধি করে সুদ
আলে ইমরান আয়াত-১৩০ এ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوا الرِّبٰۤوا اَضۡعَافًا مُّضٰعَفَۃً ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
হে মুমিনগণ, তোমরা সুদ খাবে না বহুগুণ বৃদ্ধি করে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও।
আলে ইমরান-১৩০
সাত,
স্পষ্ট ঘোষণা,
یَمۡحَقُ اللّٰہُ الرِّبٰوا وَ یُرۡبِی الصَّدَقٰتِ ؕ وَ اللّٰہُ لَا یُحِبُّ کُلَّ کَفَّارٍ اَثِیۡمٍ
আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং সদাকাকে বাড়িয়ে দেন। বাকারা-২৭৬
আট.
সুদে বরকত নাই
وَ مَاۤ اٰتَیۡتُمۡ مِّنۡ رِّبًا لِّیَرۡبُوَا۠ فِیۡۤ اَمۡوَالِ النَّاسِ فَلَا یَرۡبُوۡا عِنۡدَ اللّٰہِ ۚ وَ مَاۤ اٰتَیۡتُمۡ مِّنۡ زَکٰوۃٍ تُرِیۡدُوۡنَ وَجۡہَ اللّٰہِ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُضۡعِفُوۡنَ
আর তোমরা যে সূদ দিয়ে থাক, মানুষের সম্পদে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তা মূলতঃ আল্লাহর কাছে বৃদ্ধি পায় না। আর তোমরা যে যাকাত দিয়ে থাক আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে (তাই বৃদ্ধি পায়) এবং তারাই বহুগুণ সম্পদ প্রাপ্ত।
সুরা রুম আয়াত-৩৯
সুদের ষোলটি ভয়াবহ অবস্থা.
কাগজে লিখে ঘরে ঝুলিয়ে রাখেন।
এক.
আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা,
উদাহরণ-১
فَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا فَاۡذَنُوۡا بِحَرۡبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ۚ وَ اِنۡ تُبۡتُمۡ فَلَکُمۡ رُءُوۡسُ اَمۡوَالِکُمۡ ۚ لَا تَظۡلِمُوۡنَ وَ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
কিন্তু যদি তোমরা তা না কর তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও, আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা যুলম করবে না এবং তোমাদের যুলম করা হবে না।
বাকারা-২৭৯
উদাহরণ-২
عنِ ابنِ عبّاسٍ قالَ: يقالُ يومَ القيامةِ لآكلِ الرِّبا
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য, কেয়ামতের দিন সুদখোর কে বলা হবে ,
خُذ سلاحَكَ للحَربِ
তুমি তোমার অস্ত্র ধারণ কর লড়াই করার জন্য।
عمدة التفسير ١/٣٣٠ إسناده صحيح
উমদাতুত তাফসীর ১/৩৩০
দুই,
পাগল অবস্থায় কবর থেকে উঠবে,
*اَلَّذِیۡنَ یَاۡکُلُوۡنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوۡمُوۡنَ اِلَّا کَمَا یَقُوۡمُ الَّذِیۡ یَتَخَبَّطُہُ الشَّیۡطٰنُ مِنَ الۡمَسِّ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَالُوۡۤا اِنَّمَا الۡبَیۡعُ مِثۡلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللّٰہُ الۡبَیۡعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا ؕ فَمَنۡ جَآءَہٗ مَوۡعِظَۃٌ مِّنۡ رَّبِّہٖ فَانۡتَہٰی فَلَہٗ مَا سَلَفَ ؕ وَ اَمۡرُہٗۤ اِلَی اللّٰہِ ؕ وَ مَنۡ عَادَ فَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ
যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
বাকারা-২৭৫
তিন,
শ্বাসরোধ করা অবস্থায় উঠবে,
قالَ ابنُ عبّاسٍ: آكِلُ الرِّبا يُبعَثُ يومَ القِيامةِ مَجنونًا يُخنَقُ
সুদখোর কে কেয়ামতের দিন পাগল এব শ্বাসরোধ করা অবস্থায় উঠানো হবে।
أحمد شاكر (ت ١٣٧٧) عمدة التفسير ١/٣٣٠ إسناده صحيح
উমদাতুত তাফসীর ১/৩৩০
يخنق শ্বাসরোধ করা অবস্থায়
চার,
সুদ খাওয়া হালাল রিজিক থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ হয়।
فَبِظُلۡمٍ مِّنَ الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا حَرَّمۡنَا عَلَیۡہِمۡ طَیِّبٰتٍ اُحِلَّتۡ لَہُمۡ وَ بِصَدِّہِمۡ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ کَثِیۡرًا
সুতরাং ইয়াহূদীদের যুলমের কারণে আমি তাদের উপর উত্তম খাবারগুলো হারাম করেছিলাম, যা তাদের জন্য হালাল করা হয়েছিল এবং আল্লাহর রাস্তা থেকে অনেককে তাদের বাধা প্রদানের কারণে।
নিসা-১৬০
وَّ اَخۡذِہِمُ الرِّبٰوا وَ قَدۡ نُہُوۡا عَنۡہُ وَ اَکۡلِہِمۡ اَمۡوَالَ النَّاسِ بِالۡبَاطِلِ ؕ وَ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ مِنۡہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا
আর তাদের সুদ গ্রহণের কারণে, অথচ তা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল এবং অবৈধভাবে মানুষের সম্পদ খাওয়ার কারণে। আর আমি তাদের মধ্য থেকে কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছি যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
নিসা-১৬১
পাচ.
কোন এলাকায় আযাব আসার অন্যতম কারণ হলোঃ সুদের ব্যপক বিস্তার লাভ।
عن عبدالله بن عباس قال قال رسولُ اللهِ صلّى اللهُ عليه وسلَّم وقال إذا ظهر الزِّنا والرِّبا في قريةٍ فقد أحلُّوا بأنفسِهم عذابَ الله
المنذري (ت ٦٥٦) الترغيب والترهيب ٣/٦٩
[إسناده صحيح أو حسن أو ما قاربهما]
যখন ব্যাভিচার ও সুদের প্রসার লাভ করবে তখন তারা নিজেদের জন্য আল্লাহর গজব কে তরান্বিত করবে।
আত তারগীব ওয়াত তারহীব- ৩/৬৯
ছয়,
সুদের কারনে দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়,
عن عمرو بن العاص
ما من قومٍ يظهرُ فيهم الرِّبا إلّا أُخِذوا بالسَّنةِ وما من قومٍ يظهرُ فيهم الرِّشا إلّا أُخِذوا بالرُّعبِ
المنذري (ت ٦٥٦)، الترغيب والترهيب ٣/١٩٤ إسناده فيه نظر أخرجه أحمد
(١٧٨٢٢)
মুসনাদে আহমদ- ১৭৮২২
الرعب কাপুরুষতা
কোন এলাকায় সুদের কারবার হলে সেখানে দুর্ভিক্ষ লাগে
আর ঘুষের কারবার বেড়ে গেলে তাদের মাঝে কাপুরুষতা বেড়ে যাবে,
সাত.
সুদখোরের পেটে সাপ,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
أَتَيْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عَلَى قَوْمٍ بُطُونُهُمْ كَالْبُيُوتِ فِيهَا الْحَيَّاتُ تُرَى مِنْ خَارِجِ بُطُونِهِمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرَائِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ أَكَلَةُ الرِّبا
মিরাজের রাতে আমাকে একদল লকের কাছে নিয়ে আসা হলো। তাদের পেট ছিল ঘরের মত বিশাল, তার মধ্যে সাপ ভর্তি ছিলো, যা বাইরে থেকে দেখা যায়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাঈল! এরা কারা? তিনি বলেনঃ এরা সুদখোর।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৩
كتاب التجارات باب التغليظ في الربا
কিতাবঃ ব্যবসা বাণিজ্য
অধ্যায়ঃসুদ সম্পর্কে কঠোর বানী
এই ব্যাপারে আরেকটি বর্ননা
عن أبي هريرة
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ননা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
رأيتُ ليلةَ أُسرِي بي لمّا انتهينا إلى السَّماءِ السّابعةِ فنظرتُ فوقي فإذا أنا برعدٍ وبرقٍ وصواعقَ قال فأتيتُ على قومٍ بطونُهم كالبيوتِ فيها الحيّاتُ تُرى من خارجِ بطونِهم قلتُ يا رسولَ اللهِ جبريلَ من هؤلاء قال هؤلاء أكَلةُ الرِّبا
লাইলাতুল মেরাজে/ মেরাজ রজনীতে আমি যখন সপ্তমাকাশে পৌঁছে উপরের দিকে তাকালাম তখন বজ্রধ্বনি, বিদ্যুৎ চমক ও গর্জন শুনতে পেলাম। এরপর আমি একদল লোকের কাছে আগমন করলাম, যাদের পেটসমূহ ঘরের ন্যায় বড়, পেটগুলো সাপ দ্বারা পরিপূর্ণ। সাপগুলো পেটের বাহির থেকেই দেখা যাচ্ছিল। আমি বললাম হে জিবরাইল! এরা কারা? উত্তরে তিনি বললেন এরা সুদখোরের দল।
আত তারগীব ওয়াত তারহীব ৩/৬৯
মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/১২০
মুসনাদে আহমদ-৮৬২৫
আট.
আপন মায়ের সাথে ব্যাভিচার করা,
উদাহরণ- ১
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ
সুদের গুনাহর সত্তরতি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মাকে বিবাহ (যেনা) করা।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৪
উদাহরণ- ২
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَال
আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
َ
الرِّبَا ثَلاَثَةٌ وَسَبْعُونَ بَابًا
সুদের পাপের তিয়াত্তরটি স্তর রয়েছে।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৫
كتاب التجارات- باب : التغليظ في الربا
কিতাবঃব্যবসা বাণিজ্য
অধ্যায়ঃ সুদ সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারি।
নয়.
সুদ ধ্বংসাত্মক অপরাধ ,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
" اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ " قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَا هُنَّ قَالَ " الشِّرْكُ بِاللَّهِ، وَالسِّحْرُ، وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ، وَأَكْلُ الرِّبَا، وَأَكْلُ مَالِ الْيَتِيمِ، وَالتَّوَلِّي يَوْمَ الزَّحْفِ، وَقَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ الْغَافِلاَتِ
তিনি বলেন, সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কী? তিনি বললেন,
(১) আল্লাহ্র সাঙ্গে শরীক করা ,
(২) যাদু ,
(৩) আল্লাহ তা‘আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়ত সম্মত কারন ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা,
(৪) সুদ খাওয়া,
(৫) ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা,
(৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং
(৭) সরল স্বভাবা সতী-সাধ্বী মু’মিনাদের অপবাদ দেয়া।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৭৬৬
كتاب: الوصايا باب قول الله تعالى إن الذين يأكلون أموال اليتامى ظلما إنما يأكلون في بطونهم نارا
অধ্যায়ঃ আল্লাহর বানী: নিশ্চয়ই যারা ইয়াতীমের সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা তাদের পেটে আগুন ঢুকায়।
দশ.
সুদখোর রক্তের নদীতে,
عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
رَأَيْتُ اللَّيْلَةَ رَجُلَيْنِ أَتَيَانِي، فَأَخْرَجَانِي إِلَى أَرْضٍ مُقَدَّسَةٍ فَانْطَلَقْنَا حَتَّى أَتَيْنَا عَلَى نَهَرٍ مِنْ دَمٍ فِيهِ رَجُلٌ قَائِمٌ، وَعَلَى وَسَطِ النَّهْرِ رَجُلٌ بَيْنَ يَدَيْهِ حِجَارَةٌ، فَأَقْبَلَ الرَّجُلُ الَّذِي فِي النَّهَرِ فَإِذَا أَرَادَ الرَّجُلُ أَنْ يَخْرُجَ رَمَى الرَّجُلُ بِحَجَرٍ فِي فِيهِ فَرَدَّهُ حَيْثُ كَانَ، فَجَعَلَ كُلَّمَا جَاءَ لِيَخْرُجَ رَمَى فِي فِيهِ بِحَجَرٍ، فَيَرْجِعُ كَمَا كَانَ، فَقُلْتُ مَا هَذَا فَقَالَ الَّذِي رَأَيْتَهُ فِي النَّهَرِ آكِلُ الرِّبَا
আজ রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, দু’ব্যক্তি আমার নিকট আগমন করে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌঁছলাম। নদীর মধ্যস্থলে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানে লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায় তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খণ্ড নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে যতবার সে বেরিয়ে আসতে চায় ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ কে? সে বলল, যাকে আপনি (রক্তের) নদীতে দেখেছেন, সে হল সুদখোর।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০৮৫
كتاب: البيوع - باب آكل الربا وشاهده وكاتبه
কিতাবঃ ক্রয় বিক্রয়
অধ্যায়ঃ সুদ গ্ৰহীতা,তার সাক্ষ্যদাতা ও তার লেখক।
হাদিস থেকে শিক্ষা,
(১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজিযা তথা সুদখোরের ভয়াবহতা অবলোকন করা।
(২) ফজরের সালাম ফিরানোর পরে ইমাম সাহেব মুসল্লিদের দিকে ফিরে বসা।
(৩) মসজিদে ইলমি কথা বলা বৈধ।
(৪) প্রয়োজনে কিবলাকে পিছনে রেখে বসা বৈধ।
এগারো.
সূদখোরের উপর অভিশাপ,
عَنْ عَلِيٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَنَ آكِلَ الرِّبَا، وَمُوكِلَهُ، وَكَاتِبَهُ، وَمَانِعَ الصَّدَقَةِ، وَكَانَ يَنْهَى عَنِ النَّوْحِ
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুদখোর, সুদদাতা, এর লেখক, সাদকা দানে অস্বীকারীর উপর অভিসম্পাত করেছেন। আর তিনি বিলাপ করে কাঁদতে নিষেধ করেছেন।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫১০৩
كتاب الزينة- المو تشمات وذكر الإختلاف علي عبدالله بن مرة والشعبي في هذا
সাজসজ্জা
পরিচ্ছেদ: যে চুলে অন্যের চুল যোজন করে।
হাদিস থেকে শিক্ষা:
(১) অন্যায় কাজে সহযোগিতা করা নিষেধ,
(২)মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কান্না করা নিষেধ।
নাসায়ীর পরের বর্ননা(৫১০৪নং হাদীসে) তে
এসেছে وشاهده সূদের সাক্ষী
বারো.
ছত্রিশ বার ব্যাভিচার করার চেয়েও বড়ো অপরাধ হলোঃ এক দিরহাম সূদ খাওয়া,
عن عبدالله بن حنظلة
درهمُ ربًا يأكلُه الرِّجلُ وهو يعلمُ أشدُّ من ستٍّ وثلاثين زنْيةً
٢٢٠٠٧ مسند أحمد
জেনেশুনে এক দিরহাম সুদ খাওয়া ছত্রিশবার ব্যাভিচারের চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ,
মুসনাদে আহমদ- ২২০০৭ (৫/২২৫)
তেরো.
সুদখোর কে জান্নাত না দেওয়াটাই আল্লাহর হক।
عن أبي هريرة
أربعٌ حقٌّ على اللهِ ألّا يُدخِلَهم الجنَّةَ ولا يُذيقَهم نعيمَها: مُدمِنُ الخمرِ، وآكِلُ الرِّبا، وآكِلُ مالِ اليتيمِ بغيرِ حقٍّ، والعاقُّ لوالدَيْه
أخرجه الحاكم ٢٢٦٠
চার শ্রেণীর মানুষ কে জান্নাত না দেওয়া আল্লাহর হক
১.মদ পানকারী
২.সুদখোর
৩.এতীমের সম্পদ ভক্ষণকারী
৪.পিতামাতার অবাধ্য সন্তান।
মুসতাদরাকে হাকিম-২২৬০
চৌদ্দ.
সূদ বেড়ে যাওয়া কেয়ামতের আলামত।
[عن عبد الله بن مسعود:]
بين يدَيِ السّاعةِ يظهرُ الرِّبا والزِّنا والخمرُ.
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ননা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, কেয়ামতের পূর্বে সূদের কারবার, ব্যভিচার এবং মদ পান বেড়ে যাবে।
আত তারগীব ওয়াত তারহীব-৩/৭০
পনেরো.
এক যুগ আসবে, যখন কেউ-ই সুদ খাওয়া ছাড়া থাকবে না। যদি কেউ সুদ না খায় তবুও তার ধোঁয়া তাকে স্পর্শ করবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لاَ يَبْقَى أَحَدٌ إِلاَّ أَكَلَ الرِّبَا فَإِنْ لَمْ يَأْكُلْهُ أَصَابَهُ مِنْ بُخَارِهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে, যখন কেউ-ই সুদ খাওয়া ছাড়া থাকবে না। যদি কেউ সুদ না খায় তবুও তার ধোঁয়া তাকে স্পর্শ করবে। ইবনু ঈশার বর্ণনায় রয়েছে : তার ধুলা-ময়লা তাকে স্পর্শ করবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৩৩১
كتاب: البيوع باب : في اجتناب الشبهات
কিতাবঃ ব্যবসা বাণিজ্য
অনুচ্ছেদ: সন্দেহ মুলক বস্ত পরিহার করা।
ষোল.
সুদের ফলাফল সম্পদে ঘাটতি এসে যাওয়া।
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَا أَحَدٌ أَكْثَرَ مِنَ الرِّبَا إِلاَّ كَانَ عَاقِبَةُ أَمْرِهِ إِلَى قِلَّةٍ "
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি সুদের দ্বারা সম্পদ বাড়িয়েছে, পরিণামে তার সম্পদ হ্রাসপ্রাপ্ত হবেই।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৯
كتاب التجارات- باب : التغليظ في الربا
কিতাবঃব্যবসা বাণিজ্য
অধ্যায়ঃ সুদ সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারি।
নোট:
ঋণ দিয়ে জমি বন্ধক রাখার যেই পদ্ধতি আমাদের দেশে প্রচলিত আছে তথা কোন ব্যক্তি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে কারো কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি বন্ধক নিয়ে থাকে।টাকাদাতা জমি ভোগ করতে থাকে এটা যায়েজ নাই। এটাও সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। মনে রাখতে হবে, বন্ধকী বস্ত দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়েজ নাই। নিচের বর্ননা টি লক্ষ করেন।
عن محمد بن سيرين: جاءَ رجلٌ إلى عبدِ اللهِ بنِ مسعودٍ فقالَ: إنِّي أسلَفتُ رجلًا خَمسَمائةِ درهمٍ، ورَهَنَني فرسًا، فرَكِبْتُها، أو أركبتُها، قالَ: مহারাম উপার্জনের স্বরূপ-"" সুদ""
الربي في اللغة الزيادة والمراد في الآية كل زيادة لا يُقابلها عوض
বাড়তি জিনিস, আয়াতে উদ্দেশ্য হলোঃ প্রত্যেক ঐ বাড়তি অংশ যা আর্থিক বিনিময় ছাড়া অর্জন করা হয়। আহকামুল কুরআন লি ইবনিল আরবি।
এক,
হাদিসে রিবার(সুদ) সংজ্ঞাঃ
عن علي بن أبي طالب
كلُّ قرضٍ جَرَّ مَنفعةً فَهوَ ربًا
الجامع الصغير ٦٣١٨
যে রিন লাভ কামাই করে তাই রিবা।
আল জামিউস সগীর- ৬৩১৮
জামে সগীর এর ব্যখ্যা গ্রন্থ সিরাজুল মুনীরে
আল্লামা আজিজি রহঃ লিখেছেন,,,
হাদিস টি হাসান লিগাইরিহি।
দুই,
রিনের ক্ষেত্রে রিবা(সুদ)
ইবনে আব্বাস বলেন,
إنما الربا أخرلي وازيدك
রিনগ্ৰহিতা রিনদাতাকে বলল, তুমি পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দাও, তাহলে এত টাকা বাড়িয়ে দিব।
مصنف عبد الرزاق١٤٣٦٢
মুসান্নাফু আব্দির রাজ্জাক-১৪৩৬২
তিন,
এক হাদিসে রিবার বর্ননা এভাবে এসেছে,
فَبَلَغَ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ فَقَامَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ بَيْعِ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرِّ بِالْبُرِّ وَالشَّعِيرِ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرِ بِالتَّمْرِ وَالْمِلْحِ بِالْمِلْحِ إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ عَيْنًا بِعَيْنٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى
আবু কিলাবাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাঃ)-এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি দণ্ডায়মান হন এবং বলেন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিষেধ করতে শুনেছি- স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ, রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিমিয়ে খেজুর ও লবণের বিনিময়ে লবণ বিক্রি করতে, পরিমাণে সমান সমান ও নগদ নগদ ছাড়া। যে অতিরিক্ত দিবে বা অতিরিক্ত গ্রহণ করবে সে সুদের কাজ-কারবার করল।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৯৫৩
(১৫৮৭ মাদ্রাসা সিলেবাস অনুযায়ী/আন্তর্জাতিক নাম্বার)
كِتَابٌ : الْمُسَاقَاةُ | بَابٌ : الصَّرْفُ، وَبَيْعُ الذَّهَبِ بِالْوَرِقِ نَقْدًا
কিতাবঃ পানি সেচের বিনিময়ে ফসলের একটি অংশ প্রদান।
অধ্যায়ঃ স্বর্ণের বদলে রৌপ্য, রৌপ্যের বদলে স্বর্ণ নগদ বেচাকেনা।
আরেকটি হাদীস
*ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَالْفِضَّةَ بِالْفِضَّةِ إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ وَالْفِضَّةَ بِالذَّهَبِ كَيْفَ شِئْتُمْ
আবূ বাক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সমান সমান ছাড়া তোমরা সোনার বদলে সোনা বিক্রয় করবে না। অনুরূপ রূপার বদলে রূপা সমান সমান ছাড়া (বিক্রি করবে না)। রূপার বদলে সোনা এবং সোনার বদলে রূপা যেভাবে ইচ্ছে, কেনা বেচা করতে পার।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২১৭৫
كتاب: البيوع- باب بيع الذهب بالذهب
কিতাবঃ ক্রয় বিক্রয়
অধ্যায়ঃ সোনার পরিবর্তে সোনা বিক্রি করা।
চার,
বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে রিবার(সুদ) আলোচনা।
লম্বা হাদীসের অংশ বিশেষ।
أَلاَ كُلُّ شَىْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَىَّ مَوْضُوعٌ وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ وَإِنَّ أَوَّلَ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَائِنَا دَمُ ابْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي سَعْدٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ وَرِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ
সাবধান! জাহিলী যুগের সকল ব্যাপার (অপসংস্কৃতি) আমার উভয় পায়ের নীচে। জাহিলী যুগের রক্তের দাবিও বাতিল হ’ল। আমি সর্বপ্রথম যে রক্তপণ বাতিল করছি, তা হল আমাদের বংশের রবী’আহ্ ইবনু হারিসের পুত্রের রক্তপণ। সে শিশু অবস্থায় বানূ সা’দ এ দুগ্ধপোষ্য ছিল, তখন হুযায়ল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করে।
“জাহিলী যুগের সুদও বাতিল হল।
মুসলিম হাদীস:২৮৪০
মুসলিম হাদীস:১২১৮(মাদ্রাসা সিলেবাস অনুযায়ী/আন্তর্জাতিক নাম্বার)
كِتَابٌ : الْحَجُّ. | بَابٌ : حَجَّةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
কিতাবঃ হজ্জ
অধ্যায়ঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হজ্জের বিবরণ।
পাচ,
কম বেশি সুদ সবই নিষিদ্ধ,
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَ ذَرُوۡا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও। বাকারা ২৭৮
نَزَلَ فِي بَنِي عَمْرِو بْنِ عُمَيْرٍ مِنْ ثَقِيفٍ، وَبَنِي الْمُغِيرَةِ مَنْ بَنِي مَخْزُومٍ، كَانَ بَيْنَهُمْ رِبًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَلَمَّا جَاءَ الْإِسْلَامُ وَدَخَلُوا فِيهِ
উপরোক্ত আয়াত সাকিফ গোত্রের বনু আমরুবনু উমাইর এবং মাখযুমী গোত্রের বনুল মুগীরার ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে, জাহেলী যুগে তাদের মাঝে সুদি কারবার হয়েছিল (লেনদেন হয়েছে) ইসলাম আগমনের পর(ইসলামের দাওয়াত পাওয়ার পর)উভয় গোত্র মুসলমান হয়ে যায়।
طَلَبَتْ ثَقِيفٌ أَنْ تَأْخُذَهُ مِنْهُمْ، فَتَشَاوَرُوا وَقَالَتْ بَنُو الْمُغِيرَةِ: لَا نُؤَدِّي الرِّبَا فِي الْإِسْلَامِ
এখন উভয় গোত্র মুসলমান) সাকিফ গোত্র মাখযুমী গোত্রের নিকট তাদের বকেয়া সুদ দাবি করলে মাখযুমী গোত্রের বনুল মুগীরা সম্প্রদায় আপোষের মধ্যে পরামর্শ করে সাকিফ গোত্রকে জানিয়ে দিলেন যে আমরা ইসলামের মধ্যে (যেহেতু আমরা মুসলমান) সুদ দিব না।
فَكَتَبَ فِي ذَلِكَ عَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ نَائِبُ مَكَّةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ﷺ، فَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فَكَتَبَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِلَيْهِ
মক্কার নায়িব আত্তাব ইবনে আসিদ এই ব্যাপারে মিমাংসার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট চিঠি পাঠালেন, তখন এই আয়াত নাযিল হয়,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ * فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ﴾ فَقَالُوا: نَتُوبُ إِلَى اللَّهِ، وَنَذَرُ مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا، فَتَرَكُوهُ كُلُّهُمْفَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا فَاۡذَنُوۡا بِحَرۡبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ۚ وَ اِنۡ تُبۡتُمۡ فَلَکُمۡ رُءُوۡسُ اَمۡوَالِکُمۡ ۚ لَا تَظۡلِمُوۡنَ وَ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও। বাকারা ২৭৮
কিন্তু যদি তোমরা তা না কর তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও, আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা যুলম করবে না এবং তোমাদের যুলম করা হবে না। বাকারা ২৭৯
ছয়,
চক্রাকারে বৃদ্ধি/বহুগুণে বৃদ্ধি করে সুদ
আলে ইমরান আয়াত-১৩০ এ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوا الرِّبٰۤوا اَضۡعَافًا مُّضٰعَفَۃً ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
হে মুমিনগণ, তোমরা সুদ খাবে না বহুগুণ বৃদ্ধি করে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও।
আলে ইমরান-১৩০
সাত,
স্পষ্ট ঘোষণা,
یَمۡحَقُ اللّٰہُ الرِّبٰوا وَ یُرۡبِی الصَّدَقٰتِ ؕ وَ اللّٰہُ لَا یُحِبُّ کُلَّ کَفَّارٍ اَثِیۡمٍ
আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং সদাকাকে বাড়িয়ে দেন। বাকারা-২৭৬
আট.
সুদে বরকত নাই
وَ مَاۤ اٰتَیۡتُمۡ مِّنۡ رِّبًا لِّیَرۡبُوَا۠ فِیۡۤ اَمۡوَالِ النَّاسِ فَلَا یَرۡبُوۡا عِنۡدَ اللّٰہِ ۚ وَ مَاۤ اٰتَیۡتُمۡ مِّنۡ زَکٰوۃٍ تُرِیۡدُوۡنَ وَجۡہَ اللّٰہِ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُضۡعِفُوۡنَ
আর তোমরা যে সূদ দিয়ে থাক, মানুষের সম্পদে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তা মূলতঃ আল্লাহর কাছে বৃদ্ধি পায় না। আর তোমরা যে যাকাত দিয়ে থাক আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে (তাই বৃদ্ধি পায়) এবং তারাই বহুগুণ সম্পদ প্রাপ্ত।
সুরা রুম আয়াত-৩৯
সুদের ষোলটি ভয়াবহ অবস্থা.
কাগজে লিখে ঘরে ঝুলিয়ে রাখেন।
এক.
আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা,
উদাহরণ-১
فَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا فَاۡذَنُوۡا بِحَرۡبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ۚ وَ اِنۡ تُبۡتُمۡ فَلَکُمۡ رُءُوۡسُ اَمۡوَالِکُمۡ ۚ لَا تَظۡلِمُوۡنَ وَ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
কিন্তু যদি তোমরা তা না কর তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও, আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা যুলম করবে না এবং তোমাদের যুলম করা হবে না।
বাকারা-২৭৯
উদাহরণ-২
عنِ ابنِ عبّاسٍ قالَ: يقالُ يومَ القيامةِ لآكلِ الرِّبا
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য, কেয়ামতের দিন সুদখোর কে বলা হবে ,
خُذ سلاحَكَ للحَربِ
তুমি তোমার অস্ত্র ধারণ কর লড়াই করার জন্য।
عمدة التفسير ١/٣٣٠ إسناده صحيح
উমদাতুত তাফসীর ১/৩৩০
দুই,
পাগল অবস্থায় কবর থেকে উঠবে,
*اَلَّذِیۡنَ یَاۡکُلُوۡنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوۡمُوۡنَ اِلَّا کَمَا یَقُوۡمُ الَّذِیۡ یَتَخَبَّطُہُ الشَّیۡطٰنُ مِنَ الۡمَسِّ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَالُوۡۤا اِنَّمَا الۡبَیۡعُ مِثۡلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللّٰہُ الۡبَیۡعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا ؕ فَمَنۡ جَآءَہٗ مَوۡعِظَۃٌ مِّنۡ رَّبِّہٖ فَانۡتَہٰی فَلَہٗ مَا سَلَفَ ؕ وَ اَمۡرُہٗۤ اِلَی اللّٰہِ ؕ وَ مَنۡ عَادَ فَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ
যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
বাকারা-২৭৫
তিন,
শ্বাসরোধ করা অবস্থায় উঠবে,
قالَ ابنُ عبّاسٍ: آكِلُ الرِّبا يُبعَثُ يومَ القِيامةِ مَجنونًا يُخنَقُ
সুদখোর কে কেয়ামতের দিন পাগল এব শ্বাসরোধ করা অবস্থায় উঠানো হবে।
أحمد شاكر (ت ١٣٧٧) عمدة التفسير ١/٣٣٠ إسناده صحيح
উমদাতুত তাফসীর ১/৩৩০
يخنق শ্বাসরোধ করা অবস্থায়
চার,
সুদ খাওয়া হালাল রিজিক থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ হয়।
فَبِظُلۡمٍ مِّنَ الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا حَرَّمۡنَا عَلَیۡہِمۡ طَیِّبٰتٍ اُحِلَّتۡ لَہُمۡ وَ بِصَدِّہِمۡ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ کَثِیۡرًا
সুতরাং ইয়াহূদীদের যুলমের কারণে আমি তাদের উপর উত্তম খাবারগুলো হারাম করেছিলাম, যা তাদের জন্য হালাল করা হয়েছিল এবং আল্লাহর রাস্তা থেকে অনেককে তাদের বাধা প্রদানের কারণে।
নিসা-১৬০
وَّ اَخۡذِہِمُ الرِّبٰوا وَ قَدۡ نُہُوۡا عَنۡہُ وَ اَکۡلِہِمۡ اَمۡوَالَ النَّاسِ بِالۡبَاطِلِ ؕ وَ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ مِنۡہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا
আর তাদের সুদ গ্রহণের কারণে, অথচ তা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল এবং অবৈধভাবে মানুষের সম্পদ খাওয়ার কারণে। আর আমি তাদের মধ্য থেকে কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছি যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
নিসা-১৬১
পাচ.
কোন এলাকায় আযাব আসার অন্যতম কারণ হলোঃ সুদের ব্যপক বিস্তার লাভ।
عن عبدالله بن عباس قال قال رسولُ اللهِ صلّى اللهُ عليه وسلَّم وقال إذا ظهر الزِّنا والرِّبا في قريةٍ فقد أحلُّوا بأنفسِهم عذابَ الله
المنذري (ت ٦٥٦) الترغيب والترهيب ٣/٦٩
[إسناده صحيح أو حسن أو ما قاربهما]
যখন ব্যাভিচার ও সুদের প্রসার লাভ করবে তখন তারা নিজেদের জন্য আল্লাহর গজব কে তরান্বিত করবে।
আত তারগীব ওয়াত তারহীব- ৩/৬৯
ছয়,
সুদের কারনে দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়,
عن عمرو بن العاص
ما من قومٍ يظهرُ فيهم الرِّبا إلّا أُخِذوا بالسَّنةِ وما من قومٍ يظهرُ فيهم الرِّشا إلّا أُخِذوا بالرُّعبِ
المنذري (ت ٦٥٦)، الترغيب والترهيب ٣/١٩٤ إسناده فيه نظر أخرجه أحمد
(١٧٨٢٢)
মুসনাদে আহমদ- ১৭৮২২
الرعب কাপুরুষতা
কোন এলাকায় সুদের কারবার হলে সেখানে দুর্ভিক্ষ লাগে
আর ঘুষের কারবার বেড়ে গেলে তাদের মাঝে কাপুরুষতা বেড়ে যাবে,
সাত.
সুদখোরের পেটে সাপ,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
أَتَيْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عَلَى قَوْمٍ بُطُونُهُمْ كَالْبُيُوتِ فِيهَا الْحَيَّاتُ تُرَى مِنْ خَارِجِ بُطُونِهِمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرَائِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ أَكَلَةُ الرِّبا
মিরাজের রাতে আমাকে একদল লকের কাছে নিয়ে আসা হলো। তাদের পেট ছিল ঘরের মত বিশাল, তার মধ্যে সাপ ভর্তি ছিলো, যা বাইরে থেকে দেখা যায়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাঈল! এরা কারা? তিনি বলেনঃ এরা সুদখোর।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৩
كتاب التجارات باب التغليظ في الربا
কিতাবঃ ব্যবসা বাণিজ্য
অধ্যায়ঃসুদ সম্পর্কে কঠোর বানী
এই ব্যাপারে আরেকটি বর্ননা
عن أبي هريرة
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ননা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
رأيتُ ليلةَ أُسرِي بي لمّا انتهينا إلى السَّماءِ السّابعةِ فنظرتُ فوقي فإذا أنا برعدٍ وبرقٍ وصواعقَ قال فأتيتُ على قومٍ بطونُهم كالبيوتِ فيها الحيّاتُ تُرى من خارجِ بطونِهم قلتُ يا رسولَ اللهِ جبريلَ من هؤلاء قال هؤلاء أكَلةُ الرِّبا
লাইলাতুল মেরাজে/ মেরাজ রজনীতে আমি যখন সপ্তমাকাশে পৌঁছে উপরের দিকে তাকালাম তখন বজ্রধ্বনি, বিদ্যুৎ চমক ও গর্জন শুনতে পেলাম। এরপর আমি একদল লোকের কাছে আগমন করলাম, যাদের পেটসমূহ ঘরের ন্যায় বড়, পেটগুলো সাপ দ্বারা পরিপূর্ণ। সাপগুলো পেটের বাহির থেকেই দেখা যাচ্ছিল। আমি বললাম হে জিবরাইল! এরা কারা? উত্তরে তিনি বললেন এরা সুদখোরের দল।
আত তারগীব ওয়াত তারহীব ৩/৬৯
মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/১২০
মুসনাদে আহমদ-৮৬২৫
আট.
আপন মায়ের সাথে ব্যাভিচার করা,
উদাহরণ- ১
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ
সুদের গুনাহর সত্তরতি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মাকে বিবাহ (যেনা) করা।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৪
উদাহরণ- ২
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَال
আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
َ
الرِّبَا ثَلاَثَةٌ وَسَبْعُونَ بَابًا
সুদের পাপের তিয়াত্তরটি স্তর রয়েছে।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৫
كتاب التجارات- باب : التغليظ في الربا
কিতাবঃব্যবসা বাণিজ্য
অধ্যায়ঃ সুদ সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারি।
নয়.
সুদ ধ্বংসাত্মক অপরাধ ,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
" اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ " قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَا هُنَّ قَالَ " الشِّرْكُ بِاللَّهِ، وَالسِّحْرُ، وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ، وَأَكْلُ الرِّبَا، وَأَكْلُ مَالِ الْيَتِيمِ، وَالتَّوَلِّي يَوْمَ الزَّحْفِ، وَقَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ الْغَافِلاَتِ
তিনি বলেন, সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কী? তিনি বললেন,
(১) আল্লাহ্র সাঙ্গে শরীক করা ,
(২) যাদু ,
(৩) আল্লাহ তা‘আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়ত সম্মত কারন ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা,
(৪) সুদ খাওয়া,
(৫) ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা,
(৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং
(৭) সরল স্বভাবা সতী-সাধ্বী মু’মিনাদের অপবাদ দেয়া।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৭৬৬
كتاب: الوصايا باب قول الله تعالى إن الذين يأكلون أموال اليتامى ظلما إنما يأكلون في بطونهم نارا
অধ্যায়ঃ আল্লাহর বানী: নিশ্চয়ই যারা ইয়াতীমের সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা তাদের পেটে আগুন ঢুকায়।
দশ.
সুদখোর রক্তের নদীতে,
عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
رَأَيْتُ اللَّيْلَةَ رَجُلَيْنِ أَتَيَانِي، فَأَخْرَجَانِي إِلَى أَرْضٍ مُقَدَّسَةٍ فَانْطَلَقْنَا حَتَّى أَتَيْنَا عَلَى نَهَرٍ مِنْ دَمٍ فِيهِ رَجُلٌ قَائِمٌ، وَعَلَى وَسَطِ النَّهْرِ رَجُلٌ بَيْنَ يَدَيْهِ حِجَارَةٌ، فَأَقْبَلَ الرَّجُلُ الَّذِي فِي النَّهَرِ فَإِذَا أَرَادَ الرَّجُلُ أَنْ يَخْرُجَ رَمَى الرَّجُلُ بِحَجَرٍ فِي فِيهِ فَرَدَّهُ حَيْثُ كَانَ، فَجَعَلَ كُلَّمَا جَاءَ لِيَخْرُجَ رَمَى فِي فِيهِ بِحَجَرٍ، فَيَرْجِعُ كَمَا كَانَ، فَقُلْتُ مَا هَذَا فَقَالَ الَّذِي رَأَيْتَهُ فِي النَّهَرِ آكِلُ الرِّبَا
আজ রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, দু’ব্যক্তি আমার নিকট আগমন করে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌঁছলাম। নদীর মধ্যস্থলে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানে লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায় তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খণ্ড নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে যতবার সে বেরিয়ে আসতে চায় ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ কে? সে বলল, যাকে আপনি (রক্তের) নদীতে দেখেছেন, সে হল সুদখোর।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০৮৫
كتاب: البيوع - باب آكل الربا وشاهده وكاتبه
কিতাবঃ ক্রয় বিক্রয়
অধ্যায়ঃ সুদ গ্ৰহীতা,তার সাক্ষ্যদাতা ও তার লেখক।
হাদিস থেকে শিক্ষা,
(১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজিযা তথা সুদখোরের ভয়াবহতা অবলোকন করা।
(২) ফজরের সালাম ফিরানোর পরে ইমাম সাহেব মুসল্লিদের দিকে ফিরে বসা।
(৩) মসজিদে ইলমি কথা বলা বৈধ।
(৪) প্রয়োজনে কিবলাকে পিছনে রেখে বসা বৈধ।
এগারো.
সূদখোরের উপর অভিশাপ,
عَنْ عَلِيٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَنَ آكِلَ الرِّبَا، وَمُوكِلَهُ، وَكَاتِبَهُ، وَمَانِعَ الصَّدَقَةِ، وَكَانَ يَنْهَى عَنِ النَّوْحِ
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুদখোর, সুদদাতা, এর লেখক, সাদকা দানে অস্বীকারীর উপর অভিসম্পাত করেছেন। আর তিনি বিলাপ করে কাঁদতে নিষেধ করেছেন।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫১০৩
كتاب الزينة- المو تشمات وذكر الإختلاف علي عبدالله بن مرة والشعبي في هذا
সাজসজ্জা
পরিচ্ছেদ: যে চুলে অন্যের চুল যোজন করে।
হাদিস থেকে শিক্ষা:
(১) অন্যায় কাজে সহযোগিতা করা নিষেধ,
(২)মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কান্না করা নিষেধ।
নাসায়ীর পরের বর্ননা(৫১০৪নং হাদীসে) তে
এসেছে وشاهده সূদের সাক্ষী
বারো.
ছত্রিশ বার ব্যাভিচার করার চেয়েও বড়ো অপরাধ হলোঃ এক দিরহাম সূদ খাওয়া,
عن عبدالله بن حنظلة
درهمُ ربًا يأكلُه الرِّجلُ وهو يعلمُ أشدُّ من ستٍّ وثلاثين زنْيةً
٢٢٠٠٧ مسند أحمد
জেনেশুনে এক দিরহাম সুদ খাওয়া ছত্রিশবার ব্যাভিচারের চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ,
মুসনাদে আহমদ- ২২০০৭ (৫/২২৫)
তেরো.
সুদখোর কে জান্নাত না দেওয়াটাই আল্লাহর হক।
عن أبي هريرة
أربعٌ حقٌّ على اللهِ ألّا يُدخِلَهم الجنَّةَ ولا يُذيقَهم نعيمَها: مُدمِنُ الخمرِ، وآكِلُ الرِّبا، وآكِلُ مالِ اليتيمِ بغيرِ حقٍّ، والعاقُّ لوالدَيْه
أخرجه الحاكم ٢٢٦٠
চার শ্রেণীর মানুষ কে জান্নাত না দেওয়া আল্লাহর হক
১.মদ পানকারী
২.সুদখোর
৩.এতীমের সম্পদ ভক্ষণকারী
৪.পিতামাতার অবাধ্য সন্তান।
মুসতাদরাকে হাকিম-২২৬০
চৌদ্দ.
সূদ বেড়ে যাওয়া কেয়ামতের আলামত।
[عن عبد الله بن مسعود:]
بين يدَيِ السّاعةِ يظهرُ الرِّبا والزِّنا والخمرُ.
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ননা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, কেয়ামতের পূর্বে সূদের কারবার, ব্যভিচার এবং মদ পান বেড়ে যাবে।
আত তারগীব ওয়াত তারহীব-৩/৭০
পনেরো.
এক যুগ আসবে, যখন কেউ-ই সুদ খাওয়া ছাড়া থাকবে না। যদি কেউ সুদ না খায় তবুও তার ধোঁয়া তাকে স্পর্শ করবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لاَ يَبْقَى أَحَدٌ إِلاَّ أَكَلَ الرِّبَا فَإِنْ لَمْ يَأْكُلْهُ أَصَابَهُ مِنْ بُخَارِهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে, যখন কেউ-ই সুদ খাওয়া ছাড়া থাকবে না। যদি কেউ সুদ না খায় তবুও তার ধোঁয়া তাকে স্পর্শ করবে। ইবনু ঈশার বর্ণনায় রয়েছে : তার ধুলা-ময়লা তাকে স্পর্শ করবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৩৩১
كتاب: البيوع باب : في اجتناب الشبهات
কিতাবঃ ব্যবসা বাণিজ্য
অনুচ্ছেদ: সন্দেহ মুলক বস্ত পরিহার করা।
ষোল.
সুদের ফলাফল সম্পদে ঘাটতি এসে যাওয়া।
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَا أَحَدٌ أَكْثَرَ مِنَ الرِّبَا إِلاَّ كَانَ عَاقِبَةُ أَمْرِهِ إِلَى قِلَّةٍ "
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি সুদের দ্বারা সম্পদ বাড়িয়েছে, পরিণামে তার সম্পদ হ্রাসপ্রাপ্ত হবেই।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৯
كتاب التجارات- باب : التغليظ في الربا
কিতাবঃব্যবসা বাণিজ্য
অধ্যায়ঃ সুদ সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারি।
নোট:
ঋণ দিয়ে জমি বন্ধক রাখার যেই পদ্ধতি আমাদের দেশে প্রচলিত আছে তথা কোন ব্যক্তি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে কারো কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি বন্ধক নিয়ে থাকে।টাকাদাতা জমি ভোগ করতে থাকে এটা যায়েজ নাই। এটাও সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। মনে রাখতে হবে, বন্ধকী বস্ত দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়েজ নাই। নিচের বর্ননা টি লক্ষ করেন।
عن محمد بن سيرين: جاءَ رجلٌ إلى عبدِ اللهِ بنِ مسعودٍ فقالَ: إنِّي أسلَفتُ رجلًا خَمسَمائةِ درهمٍ، ورَهَنَني فرسًا، فرَكِبْتُها، أو أركبتُها، قالَ: ما أصبتَ من ظَهْرِها فَهوَ ربا
মুহাম্মদ ইবনে সীরিন থেকে বর্ননা, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর নিকট এসে বললেন, এক লোক কে আমি পাচশত দিরহা ঋণ দিয়েছি,লোকটি আমার নিকট একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, অতঃপর আমি তাতে আরোহণ করেছি। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বললেন-
তুমি উক্ত ঘোড়ার উপর যে পরিমাণ আরোহণ করেছ তা সুদ হয়েছে।
বাইহাকি-১১৫৪৩ا أصبتَ من ظَهْرِها فَهوَ ربا
মুহাম্মদ ইবনে সীরিন থেকে বর্ননা, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর নিকট এসে বললেন, এক লোক কে আমি পাচশত দিরহা ঋণ দিয়েছি,লোকটি আমার নিকট একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, অতঃপর আমি তাতে আরোহণ করেছি। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বললেন-
তুমি উক্ত ঘোড়ার উপর যে পরিমাণ আরোহণ করেছ তা সুদ হয়েছে।
বাইহাকি-১১৫৪৩
No comments:
Post a Comment